Be Our Friend

রক্তকরবী --(পর্ব-১)

মহিরূহ সেনগুপ্ত


 রবী আমার প্রাক্তনী,ভারি মিষ্টি ছিল ওর মুখটা।ছোট্ট ছোট্ট গোল্লা গোল্লা চোখ,তাতে কাজলের নিপুন টানে মনহরণকারী এক রূপ জন্ম নিত।সত্যি বলতে প্রথম দেখায় ওর ওই কাজল নয়ন যুগলেরই প্রেমে পড়েছিলাম।প্রথম দেখা হয়েছিল কোলকাতায়,পার্কস্ট্রীটের একটা বাসস্টপে..বাসের জন্যে অপেক্ষা করতে করতেই ঘটেছিল সেই মহাজাগতিক কান্ড।যেন উল্কা পিন্ডের সঙ্গে ধাক্কা খেয়ে ছিটকে গিয়ে পরেছিলাম বাসস্টপের এক পাশে।আর তার পরে যা ঘটেছিল তা ভেবে রাতে শুতে যাবার আগে লিখে ফেল্লাম আস্ত একটা কবিতা..তার নাম দিয়েছিলাম 'আরেকবার'...

    :আরেকবার:
আকাশ আজ মেঘলা কেন!
মনটা আজ উদাস কেন!
শরৎ এর আভা কই...
আষাঢ়ে বৃষ্টি কই..
শুধু জ্যষ্ঠির তাপদাহ;
করল মনকে দগ্ধ।
ফাগুনের প্রেম জ্বালা..
মনে এ কোন আগুন জ্বাললো?
অকালে অঝোরে বৃষ্টি;
দু-নয়নের অদ্ভুত সৃষ্টি।
মুখে নেই তৃপ্তির হাসি..
কেউ বাজায় না আর সেই..
লীলাময় বাঁশি।
হঠাৎ আকাশে বিদ্যুৎ চমক্;
তোমার দেওয়া সেই প্রথম ধমক্,
আজো পড়ে মনে।
ছোট্ট ভুলের এ-কি সাজা!
এক ঝলকেই ভালোবাসা।
পার্কস্ট্রীটের মোড়ে প্রথম দেখা..
বাস ধরতে ধাক্কা খাওয়া..
ফ্ল্যাস্ মুভমেন্ট ঘটে যাওয়া...
লাগলো প্রেমের প্রথম হাওয়া।
অবুজ মনের একটিই আশা...
তোমায় আরেকবার দেখতে পাওয়া।

   সেদিন ওই মুহূর্তে এত্ত বকুনি খেয়েছিলাম যে তার চোটে সে যে কে? কোন গ্রহের দেবি চন্ডি তা জিজ্ঞেস্ করার সাহস দেখাতে পারিনি...
তার পরে কেটে গেছিলো বেশ কয়েক মাস।মাঝে মধ্যে মনে পরত সেই ঘটনার কথা কাজের ফাঁকে;অজান্তেই ঠোঁটের কোনে চলে আসত আগন্তুক মৃদু হাসি।কারন ছিল অজানা।
  
    গৌরশঙ্কর চ্যাটার্জ্জী মহাশয় অর্থাৎ আমাদের কোম্পানির বস্ এর মেয়ের বিয়েতে তাদের বাড়িতে নিমন্ত্রন রক্ষা করতে গিয়ে হৃদয় আপ্লুত হয়ে উঠলো.....সেই স্বর্গীয় কন্যের মুখ দর্শনে।আজ্ঞে হ্যাঁ,সেই দেবী যার রোষানলে পরে সেদিন আমার চশমা ভেঙে দু-টুকরো হয়ে গিয়েছিল।

   পরিচয় করালেন বস্ নিজেই,পরিচয় পর্ব শেষে জানতে পারলাম,উনি হলেন বস্ এর...

Comments

Post a Comment

Popular Posts

Wave Us @