Be Our Friend

রক্তকরবী----(পর্ব-২)

✎ মহিরূহ সেনগুপ্ত


(পর্ব ১ এর পর...)

..একমাত্র শালিকার একমাত্র কন্যে,ব্যাস.....বেচারা হৃদয় কয়েক মুহূর্তের জন্য  লম্ফ ঝম্প সেরে অবশেষে শান্ত হল।বস্ এর শালির.....ব্যাস্ মনে মনে চিন্তায় বাঁধ সাধবার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছিলাম, এমন সময় পিছন থেকে একটা ডাক শুনতে পেলাম......"এই যে শুনছেন!" 

    
          পিছন ফিরতেই দেখি এতো সেই দেবী চন্ডি।দেখা মাত্র কপাল বেয়ে ঘামের রেখা কানের পাশ ঘেঁষে নিচের দিকে বইয়ে চলল...মনে মনে  বলছিলাম,"এই রে! আবার কি করলাম,এখানে যদি কিছু বলে বসেন,আর তা যদি বসে্র কানে পৌঁছোয় তাহলে চাকরিটা নির্ঘাত যাবে।"

       সম্মুখে সমাগত দেখে আমিই আগে বলে বসলাম,সেদিনের ঘটনার জন্য আমি সত্যিই আন্তরিক ভাবে দুঃখীত,দেখুন ঘটনাটি একটি নিছকই অ্যাক্সিডেন্ট ছিল......কথা শেষ করবার আগেই উনি হেসে বল্লেন,"না না ছি! ছি! আমিও ক্ষমা চাইতেই এসেছি আপনার কাছে,আসলে সেদিন খুব তাড়া ছিল,আগের বাসটাতে উঠতে পারিনি ভিড়ের জন্য আর তার পরের বাসটাতেই উঠতে গিয়ে আপনার সাথে ধাক্কাটি খেলাম।পাছে ওই বাসটিও হাতছাড়া হয়ে যায় এই ভয়েই তখন হঠাৎই খুব বিশ্রী রকমের রেগে গিয়েছিলাম,আপনি দয়া করে কিছু মনে করবেন না! একটু বেশিই রিঅ্যাক্ট করে ফেলেছিলাম।তার জন্য আমি সত্যিই লজ্জিত।"

         কথা শেষ হলে এবার মুখন্ডলের দিকে একটু ভালো করে তাকালাম,কিন্তু মুশকিল হল তার ওই কাজল টানা নয়ন যুগল দেখা মাত্র....  শান্ত হৃদয় হঠাৎ করে কেমন যেন স্টিম ইঞ্জিনের মতন হুইসেল দিয়ে প্রচন্ড গতিতে ছুটতে আরম্ভ করল...কোনো ক্রমে আবেগে হ্রাস টেনে কিছু একটা বলতে যাব..কিন্তু এ কি! জীভ যে সরে না,মনে হচ্ছে জীভে যেন কেউ এক শত পেড়েক ঠুকে রেখেছে।তাই অগত্যা কেবলা কান্তের মতন ফ্যাল ফ্যাল করে চেয়ে থাকা ছারা আর কোনো উপায় রইল না।

        হঠাৎ-ই কাঁধে হাত রেখে বস্ বল্লেন,"আরে তোমরা এখনও এখানে দাড়িয়ে রয়েছো! ওদিকে তো বিয়ে শুরু হতে চলেছে,তারাতারি চলো ওদিকে..."।বিয়ের দিন আর তার সাথে কোনো কথা হয়নি,হঠাৎ করে কোথায় যে হারিয়ে গেল আর খুঁজে পাইনি তাকে।তবে রিসে্পশানের দিনে আর ভুল করিনি, পরিচয় পর্ব ভাল করে সেরে, ফোন নম্বরের আদান প্রদান পর্বটাও যথারীতি সেরে নিয়েছিলাম।এসব করতে গিয়ে যে একেবারেই ভয় লাগেনি,তা বল্লে রীতিমতন পাপ হবে...তবে দুরু দুরু বুকেই সাহস জুগিয়ে কাজটা হাসিল করতে হয়েছিল,তবে বুকে যেটুকু সাহস পেয়েছিলাম বসে্র সাথে মোটামুটি একটা সুসম্পর্কের জেরে,অবশ্যই কর্ম ক্ষেত্রে।

      সেদিনের পরিচয় পর্ব শেষেই জানতেই পেরেছিলাম যে, দেবী চন্ডীর ভাল নাম হল "করবী".."করবী সান্যাল",প্রেসিডেন্সি মহাবিদ্যালয়ের ইংরাজী লিটারেচার বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী।

    তার পরের এক মাসে..........

                                             ক্রমশ প্রকাশ্য...

Comments

Popular Posts

Wave Us @